গ্রামীন টেলিকমের মামলায় আইনজীবীর অস্বাভাবিক ফি নেয়ার ঘটনা তদন্তে কেন নির্দেশ দেয়া হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংসদ সচিবালয়ের সচিব, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বার কাউন্সিলের সচিব ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনারিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলে আসছিলো। শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ।
গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়। পরে ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
এ সময় আইনজীবীরা আদালতকে জানান, চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা এখন পর্যন্ত ৩৮০ কোটি টাকা পেয়েছেন। বাকি আট শ্রমিকদের মধ্যে চারজন দেশের বাইরে থাকায় তাদের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। চারজন শ্রমিক মারা যাওয়ায় তাদের ওয়ারিশ জটিলতা নিরসন না হওয়ায় অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ ওঠা শ্রমিকদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বলেন, ১২ কোটি টাকা নেওয়ার খবর গুজব। একটি নিউজপোর্টাল কোনো তথ্য ছাড়াই এ ধরনের নিউজ ছেপেছে। সেটির লিংক এখন পাওয়া যায় না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।